Saturday, December 19, 2015

হাজ্জের প্রস্তুতি ও পদ্ধতি



জাহেলিয়াতের যুগে প্রস্তুতি নেয়ার বা পাথেয় সংগ্রহের কাজটিকে দুনিয়াদারীর কাজ মনে করা হত। আল্লাহর আয়াত এই ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে। 

দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ  হাজ্জ প্রস্তুতি,ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়মের ধারাবাহিকতা, গুরুত্ব ও পদ্ধতি ্পরকে বিশ্লেষণী আলোচনা এসেছে "আল্লাহঅতিি" বই-তে


 


           To get the book direct  contact us:

                    +8801714449999, +8801715036415
                       

Wednesday, December 16, 2015

মহিলাদের হাজ্জ


মহিলাদের হাজ্জ ফারজ হবার জন্য  অতিরিক্ত  শর্তটি হলো মাহরাম সফরসঙ্গী থাকা।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হাজ্জ। অপরিহার্য একটি ফরজ ইবাদতজীবনে একবার হাজ্জ করা সুস্থ-সবল ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর ফারয যে সব শর্তের ভিত্তিতে পুরুষদের উপর হাজ্জ ফারয, নারীদের জন্য তার অতিরিক্ত একটিমাত্র শর্ত রয়েছেনারীর উপর হাজ্জ ফারয হওয়ার জন্য সঙ্গে মাহরাম পুরুষ থাকার শর্ত যোগ করা হয়েছে

সাফা মারওয়া সায়ীতে:  নারীর সঙ্গী পুরুষ

 হাজ্জের ফারয ও ওয়াজিবগুলো আদায়ের পদ্ধতিতে নারী-পুরুষের কতিপয় পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্য রাখা হয়েছে নারীর সুবিধা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রয়োজনেই। এর মাধ্যমে নারীদের   বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে
*      পুরুষকে যেখানে ইহরাম কালে সেলাইবিহীন কাপড় পরিধানের আদেশ দেয়া হয়েছে সেখানে নারীকে স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করতে বলা হয়েছে
*      দিনের বেলা পুরুষের জন্য কঙ্কর নিক্ষেপ করার নির্দেশ; কিন্ত দিনে ভীড় ঠেলে যাবার অপারগতায় রাতের বেলা নারীর জন্য রয়েছে কঙ্কর নিক্ষেপ করার সাধারণ অনুমোদন

জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপকালে শিশু ও নারী
*      পুরুষ যেখানে দ্রুত গতিতে চলবে নারী সেখানে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটবে
*       পুরুষেরা যেখানে কণ্ঠস্বর উঁচু করে তালবিয়া পাঠ করবে সেখানে নারীর তালবিয়া পাঠে কণ্ঠস্বর থাকবে নীচু
ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যই তাকওয়া অর্জনআমাদের ইবাদতগুলোই যদি হারাম দ্বারা কলুষিত হয়ে পড়ে তাহলে কিভাবে সেই ইবাদত দ্বারা তাকওয়া অর্জিত হবে? নারীদের উপর হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত হল কোন মাহরাম পুরুষ সফরসঙ্গী থাকাঅধুনা কিছু নারীকে মাহরাম পুরুষ ব্যতীত অন্য কোন আত্মীয়-স্বজনের সংগী হয়ে হজ্জ পালন করতে দেখা যায়  হুকুম যিনি দিয়েছেন- শর্তটি তার, বুঝতে হবে।

 
মহিলাদের হাজ্জ সম্পরকে আল্লাহর রাসূল (সা) যেভাবে বলেছেনঃ
1.      উম্মুল মুমিনীন আয়িশাহ্ (রা) হতে বর্ণিততিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনাদের সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করব না? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও উৎকৃষ্ট জিহাদ হল মাকবূল হাজ্জআয়িশাহ্ (রা) বললেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ কথা শোনার পর আমি আর কখনো হাজ্জ ছাড়ব না
তথ্যসূত্রঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন- ১৮৬১নং হাদিস,আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭২৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৭৩৬)
2.      ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মেয়েরা মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে নামাহরাম কাছে নেই এমতাবস্থায় কোন পুরুষ কোন মহিলার নিকট গমন করতে পারবে নাএ সময় এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক অমুক সেনাদলের সাথে জিহাদ করার জন্য যেতে চাচ্ছিকিন্তু আমার স্ত্রী হাজ্জ করতে যেতে চাচ্ছেআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার সাথেই যাও
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন- ১৮৬১নংহাদিস; ৩০০৬, ৩০৬১ ৫৩৩৩ নং মুসলিম; আহমাদ ১৯৩৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭২৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৭৩৭ )
3.      ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জ হতে ফিরে এসে উম্মে সিনান (রাঃ) নাম্নী এক আনসারী মহিলাকে বললেনঃ হাজ্জ আদায় করাতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বললেন, তাঁর স্বামী কারণ পানি বহনের জন্য আমাদের মাত্র দুটি উট রয়েছে একটিতে সাওয়ার হয়ে তিনি হাজ্জ আদায় করতে গিয়েছেনআর অন্যটি আমাদের জমিতে পানি সিঞ্চনের কাজ করছেনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমাযান মাসে একটি উমরাহ আদায় করা একটি ফরজ হাজ্জ আদায় করার সমান অথবা বলেছেনঃ আমার সাথে একটি হাজ্জ আদায় করার সমান
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন- ১৮৬১নংহাদিস (১৭৮২)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭২৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ  ১৭৩৮)